খেলাপি ঋণ আদায়ে সব জেলায় দেউলিয়া আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

২. খেলাপি ঋণ আদায়ে ও খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবার দেশের সব জেলায় স্বতন্ত্র দেউলিয়া আদালত প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

৩. কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে, প্রতিটি জেলায় এ ধরনের আদালত প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলে খেলাপি ঋণ কমে আসবে। একই সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির সংখ্যাও কমবে।

৪. বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। স¤প্রতি দেউলিয়া আইন যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে প্রতিবেদনটিসহ চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে দেউলিয়া আইন ও অর্থঋণ আদালত আইনের সংশোধনেরও প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

৫. এ বছরের জানুয়ারির শুরুতে পাঠানো ওই চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, এ ধরনের আদালতে দেউলিয়া সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য কোনও মামলা চলবে না, সে বিধানও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। খেলাপি ঋণ দ্রুততার সঙ্গে আদায়ের জন্য দেউলিয়া বিষয়ক আইনের প্রয়োগ আরও কার্যকর করার পাশাপাশি আইনের সংস্কার করা দরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে, পাওনাদারদের শেষ আশ্রয়স্থল হবে দেউলিয়া আদালত।

৬. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, সব জেলায় গঠিত আদালতের তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট জেলার খেলাপি গ্রাহকদের ঋণ গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষিত রাখাসহ বিশেষ মনিটরিংয়ের বিধান দেউলিয়া আইনে রাখা যেতে পারে।

৭. চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ আদায়ে এবং খেলাপি গ্রাহকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশে বর্তমানে ‘ দেউলিয়া আইন ১৯৯৭’ কার্যকর রয়েছে। একইসঙ্গে খেলাপি ঋণ আদায় এবং খেলাপি গ্রাহকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ‘অর্থঋণ আদালত আইন-২০০৩’ কার্যকর রয়েছে। বাস্তব ক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালত আইনের প্রয়োগ ও কার্যকারিতা থাকলেও দেউলিয়া আইনের কার্যকারিতা নেই।

৮. এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও নানা ধরনের কাজ করছে। খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি থেকে ব্যাংকিং খাতকে বের করে আনতে খেলাপি আদায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইনি বিষয়েও কাজ করছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment